শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: নড়াইল-২ আসনে (নড়াইল-লোহাগড়া) নৌকার প্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিজয়ী করতে মাঠে নেমেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হক সুমি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। অন্যদিকে মাশরাফির মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সরাসরি মাঠে গিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ আসনে মাশরাফির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটভুক্ত ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড. এ জেড এম ফরিদুজ্জামান। তাঁর পক্ষে স্ত্রী ইমরানা আক্তার কাকলী, দুই মেয়ে ব্যারিস্টার ফারিয়া জামান, ফাবিয়া জামানসহ ২০ দলীয় জোটের কর্মী-সমর্থকরা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাইছেন। তবে ধানের শীষের প্রচারে স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা অনেকটাই নীরব।
নড়াইল-২ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপির (ছালু) জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম নাসির উদ্দীন, জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সভাপতি অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান (মিনার) ও সমাজতান্ত্রিক দলের (রব) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফকির শওকত আলী। তবে নির্বাচনী মাঠে তাঁদের কার্যক্রম তেমন চোখে পড়ছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগপ্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নির্বাচনী এলাকায় আসতে পারেননি। তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে ব্যাপক কাজ করছেন। অন্যদিকে বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মী এখনো জোটের সমর্থনে মাঠে নামেনি। এ নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নিজেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জেলা বিএনপির সহসভাপতি আকরামুজ্জামান মিলু বলেন, ‘কিছু সুবিধাভোগী নেতা মাঠে নেমে কাজ করছেন না। অথচ দল ক্ষমতায় এলে কেউ মেয়র, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। এই নেতাদের চিহ্নিত করে রাখা হবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, তাঁদের ওপর প্রশাসনিক চাপ রয়েছে। মিছিল-মিটিং বা গণসংযোগে অংশ নিলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, বিএনপি করার অভিযোগে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল পৌরসভা, সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন এবং লোহাগড়া পৌরসভা ও লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে নড়াইল-২। এ আসনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৭ হাজার। নড়াইল-২ আসনে ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগপ্রার্থী জয় পান। ২০১৪ সালে মহাজোটের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান এমপি। অন্যদিকে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি এবং ১৯৭৯ ও ২০০১ সালের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বিজয় লাভ করেন।